এমডিজি

এমডিজি অর্জনে বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এমডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে নারীনেত্রীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ২০১৫ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যকে অর্ধেকে নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে নিজ এলাকায় নারীনেত্রীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। এমডিজি র প্রতিটি লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রই তাদের দৃষ্টান্তমূলক অবদান রয়েছে।বর্তমানে নারীনেত্রীরা নিজ এলাকায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) বা পোষ্ট এমডিজির ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
স্থানীয় দারিদ্র্য বিমোচনের সাথে স¤পর্কিত এমডিজি এর লক্ষ্য পূরণের উদ্দ্যেশ্যে নারীনেত্রীরা গত কয়েক বছর ধরে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোরার মাধ্যমে কাজ করে গেছেন। সাফল্যও পেয়েছেন। এমডিজি এর আটটি লক্ষ্যের মধ্যে প্রথম সাতটি নিয়ে কাজ করেন নারীনেত্রীরা। এগুলো হলো-

লক্ষ্য ১ : চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণ
লক্ষ্য ২ : সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা
লক্ষ্য ৩ : নারী-পুরুষের সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন
লক্ষ্য ৪ : শিশু মৃত্যূ হ্রাস
লক্ষ্য ৫ : মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন
লক্ষ্য ৬ : এইচ আই ভি/এইডস, ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য রোগের মোকাবেলা
লক্ষ্য ৭ : টেঁকসই পরিবেশ নিশ্চিত করা

২০১৫ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যকে অর্ধেকে নামিয়ে আনা এমডিজির লক্ষ্য। বাংলাদেশ সরকারও এমডিজি বাস্তবায়নে অঙ্গিকারাবদ্ধ। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট  অনেক আগে থেকেই এমডিজি বাস্তবায়নে কাজ করছে। তবে ২০১২ থেকে বিশেষভাবে এমডিজি ফোকাস করে সারাদেশ থেকে ১৮৫টি ইউনিয়ন বাছাই করে এমডিজি ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলছে। যেখানে স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে গণজাগরণ সৃষ্টি ও সামাজিক আন্দোলন প্রক্রিয়ায় এমডিজি লক্ষ্যসমূহ অর্জনের মধ্য দিয়ে ক্ষুধামুক্ত ও আত্মনির্ভরশীল ইউনিয়ন গড়ে উঠবে। এমডিজি ইউনিয়ন বাস্তবায়নে নারীনেত্রীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। স্থানীয় দারিদ্র্র্য বিমোচনের সাথে সম্পর্কিত প্রথম ৭টি লক্ষ্য পূরণের উদ্দ্যেশ্যে নারীনেত্রীরা গত কয়েক বছর ধরে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন। তাদের এই পরিশ্রমের ফসলও তারা হাতেনাতে পেয়েছেন। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নারীনেত্রীরা অর্জন করেছেন অনেকগুলো সফলতা।

এমডিজি লক্ষ্য-১: চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণ:
বিদ্যমান চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূর করার লক্ষ্যে নারীনেত্রীরা আত্মকর্মসংস্থানমূলক উদ্যোগ সৃষ্টি করেছেন ৮৪২টি। যার মধ্য দিয়ে ১০,৭০৫ জন নারী ও ৩,২৬৬ জন পুরুষ তাদের আত্মকর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছেন। এছাড়া নারীরা আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে গড়ে তুলেছেন ৬৫৬টি স্থানীয় পর্যায়ের স্বাবলম্বী দল। এই দলগুলোতে ৯,৪৫৭ জন নারী ও ১,৯৬৮ জন পুরুষ সদস্য রয়েছেন। আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে হাঙ্গার প্রজেক্টের সহযোগিতায় এই সময়ে ৩১৫টি দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছেন নারীনেত্রীরা। এসকল প্রশিক্ষণে ৫,৪২০ জন নারী ও ৫১৮ জন পুরুষ তাদের দক্ষতাবৃদ্ধির সুযোগ পেয়েছেন।

এমডিজি লক্ষ্য-২: সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন:
সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের জন্য নারীনেত্রীগণ উঠান বৈঠক, পাড়াবৈঠক, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক ও মা সমাবেশের মাধ্যমে প্রচারাভিযান পরিচালনা করেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করেছে , ১৫৯৯৭জন মেয়ে শিশু এবং ১৪৭৫৯জন ছেলে শিশু। তাছাড়া ঝড়ে পড়া শিশুদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করেছে ৭৭৪১ জন মেয়ে শিশু এবং ৬০০১ জন ছেলে শিশু। পাশাপাশি নিরক্ষরতা দূরীকরণেও নারীনেত্রীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। নীরক্ষরতা দূরীকরণে বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৯৩০টি কেন্দ্র খুলে ১২,৩০ জন নারী ও ৪,১৭৫ জন পুরুষকে লিখতে-পড়তে সক্ষম করে তুলেছেন।

এমডিজি লক্ষ্য-৩: জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন:
উন্নয়নের অন্যতম প্রধান অন্তরায় সমাজে বিদ্যমান জেন্ডার অসমতা। জেন্ডার সমতা অর্জিত না হলে এমডিজি এর অন্যান্য লক্ষ্যপূরণ সমাজে কোন কার্যকর ভূমিকা রাখবে না। তাই জেন্ডার সমতা অর্জন ও নারীর ক্ষমতায়নে নারীনেত্রীরা সদাসক্রিয়। যেখানে নারীর প্রতি অন্যায় বৈষম্য, সেখানেই সক্রিয় নারীনেত্রীরা। তৃণমূল পর্যায়ে এক্ষেত্রে তাই নারীনেত্রীদের সাফল্যও অনেক। জেন্ডার সমতা অর্জনে নারীনেত্রীদের সক্রিয়তার ফলে নারীর প্রতি বিদ্যমান অনেক অন্যায় দিনে দিনে দূরীভূত হচ্ছে। সৃজনশীলতার সাথে যৌতুক ও বাল্যবিবাহের মত সামাজিক ব্যাধিকে নেত্রীরা মেকাবেলা করছেন। যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করছেন ও বাল্যবিবাহ কে ‘না’ বলুন এই প্রচারণা চালাচ্ছেন। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করেছে ৩৮০১টি, যৌতুক মুক্ত বিয়ে দিয়েছে ৪,০৪১টি তাছাড়া নারী নির্যাতন প্রতিরোখ করেছে ২,৩২৯টি।

এমডিজি লক্ষ্য-৪: শিশু মৃত্যু হ্রাস:
শিশু মৃত্যূ ছিল বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রধান সমস্যা। পোলিও, ডিপথেরিয়া, হাম, হুপিংকাশির মত ঘাতক ব্যাধি এখন আর সম্ভাবনাময় কোন জীবন অকালে থামিয়ে দিতে পারে না। সরকারের পাশাপাশি নারীনেত্রীরা তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারাভিন পরিচালনা করেছেন। জন্মনিবন্ধন ‌এবং মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করার কাজটিও তারা নিরন্তর করে চলেছেন। এ সময়ে জন্মনিবন্ধন নিশ্চিত করেছে ১৭,৫৬৩ জন নারী এবং ১৪৮১৭জন পুরুষ। তাছাড়া ৪, ৯৬৪ মেয়ে শিশু এবং ৫,৩২৭জন ছেলে শিশুকে টিকা গ্রহনে নিশ্চিত করেছে।

এমডিজিলক্ষ্য-৫: মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন:
আমাদের দেশে বিশেষত তৃণমূল পর্যায়ে গর্ভবতী মায়ের পরিচর্যা, নিরাপদ প্রসব, গর্ভবতী মায়ের টিকা ও পুষ্টি বিষয়ে সুব্যবস্থা না থাকায় প্রসূতি মায়ের স্বাস্থ্য বিপদজনক পর্যায়ে রয়েছে। নারীনেত্রীরা গর্ভবতী মায়ের পরিচর্যা ও নিরাপদ মাতৃত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা, প্রচারাভিযান চালিয়ে থাকেন এবং প্রসূতিকালীন সেবা দিয়ে থাকেন। গত দুই বছরে নারীনেত্রীরা ৩,৬৯৯ জন মায়ের নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করেছেন|

এমডিজি লক্ষ্য-৬: এইডস্‌সহ ঘাতক রোগ নির্মূল:
এইচআইভি এইডস্‌, ম্যালেরিয়া, যক্ষার মত ঘাতক রোগব্যাধি নির্মূলের জন্য নারীনেত্রীগণ র‌্যালি, আলোচনা সভা, উঠান বৈঠক এর মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালান।

এমডিজি লক্ষ্য-৭: টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণ:
জলবায়ূ পরিবর্তন বা পরিবেশের উপর যে কোন ধরণের নেতিবাচক প্রভাবের প্রথম শিকার নারীরা। পরিবারে ও সমাজে নারীনেত্রীরা তাই পরিবেশের স্থায়িত্বশীলতা রক্ষায় সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন। গত দুই বছরে পরিবেশ রক্ষায় নারীনেত্রীদের বিভিন্ন রকম কার্যক্রমের সফলতা অনেক।

–তৃণমূল পর্যায়ে নিরাপদ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করেছেন ৬০৭৫টি পরিবার;
–স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা স্থাপন করেছেন ১৬,৪২০টি যার মাধ্যমে উপকার ভোগ করছেন ২১,৪৫৮টি পরিবার;
–১২,৯৯০টি নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করেছেন;
–নলকূপ স্থাপন করেছেন ৩৫৩৬টি, যার উপকার ভোগ করছেন ৯,৭৪৫টি পরিবার;
–প্রকৃতির সবুজায়ন ও পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন রকম ফলজ, বনজ ও ঔষধী বৃক্ষরোপন করেছেন ১,২৮,৪৯৯টি।

২০১৫ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যকে অর্ধেকে নামিয়ে আনা এমডিজির লক্ষ্য। বাংলাদেশ সরকারও এমডিজি বাস্তবায়নে অঙ্গিকারাবদ্ধ। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট  অনেক আগে থেকেই এমডিজি বাস্তবায়নে কাজ করছে। তবে ২০১২ সাল থেকে বিশেষভাবে এমডিজি ফোকাস করে সারাদেশ থেকে ৮০টি ইউনিয়ন বাছাই করে এমডিজি ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলছে। যেখানে স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে গণজাগরণ সৃষ্টি ও সামাজিক আন্দোলন প্রক্রিয়ায় এমডিজি লক্ষ্যসমূহ অর্জনের মধ্য দিয়ে ক্ষুধামুক্ত ও আত্মনির্ভরশীল ইউনিয়ন গড়ে উঠবে। এমডিজি ইউনিয়ন বাস্তবায়নে নারীনেত্রীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। স্থানীয় দারিদ্র্র্য বিমোচনের সাথে সম্পর্কিত প্রথম ৭টি লক্ষ্য পূরণের উদ্দ্যেশ্যে নারীনেত্রীরা গত কয়েক বছর ধরে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন। তাদের এই পরিশ্রমের ফসলও তারা হাতেনাতে পেয়েছেন। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত নারীনেত্রীরা অর্জন করেছেন অনেকগুলো সফলতা।

এমডিজি লক্ষ্য-১: চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণ:
বিদ্যমান চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূর করার লক্ষ্যে নারীনেত্রীরা আত্মকর্মসংস্থানমূলক উদ্যোগ সৃষ্টি করেছেন ৩৯২টি। যার মধ্য দিয়ে ৩৬৯৭ জন নারী ও ১৩৮৯ জন পুরুষ তাদের আত্মকর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছেন। এছাড়া নারীরা আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে গড়ে তুলেছেন ৫৮৮টি স্থানীয় পর্যায়ের স্বাবলম্বী দল। এই দলগুলোতে ৮৫৯৯ জন নারী ও ১৭৫৭ জন পুরুষ সদস্য রয়েছেন। আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে হাঙ্গার প্রজেক্টের সহযোগিতায় এই সময়ে ২১৬ টি দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছেন নারীনেত্রীরা। এসকল প্রশিক্ষণে ৪৪২৬ জন নারী ও ৫৯৪ জন পুরুষ তাদের দক্ষতাবৃদ্ধির সুযোগ পেয়েছেন।

এমডিজি লক্ষ্য-২: সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন:
সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের জন্য নারীনেত্রীগণ উঠান বৈঠক, পাড়াবৈঠক, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক ও মা সমাবেশের মাধ্যমে প্রচারাভিযান পরিচালনা করেন। পাশাপাশি নিরক্ষরতা দূরীকরণেও নারীনেত্রীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। নীরক্ষরতা দূরীকরণে বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২৪৯টি কেন্দ্র খুলে ৪,২৩৯ জন নারী ও ১,৩৩৮ জন পুরুষকে লিখতে-পড়তে সক্ষম করে তুলেছেন।

এমডিজি লক্ষ্য-৩: জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন:
উন্নয়নের অন্যতম প্রধান অন্তরায় সমাজে বিদ্যমান জেন্ডার অসমতা। জেন্ডার সমতা অর্জিত না হলে এমডিজি এর অন্যান্য লক্ষ্যপূরণ সমাজে কোন কার্যকর ভূমিকা রাখবে না। তাই  জেন্ডার সমতা অর্জন ও নারীর ক্ষমতায়নে নারীনেত্রীরা সদাসক্রিয়।  যেখানে নারীর প্রতি অন্যায় বৈষম্য, সেখানেই সক্রিয় নারীনেত্রীরা। তৃণমূল পর্যায়ে এক্ষেত্রে তাই নারীনেত্রীদের সাফল্যও অনেক। জেন্ডার সমতা অর্জনে নারীনেত্রীদের সক্রিয়তার ফলে নারীর প্রতি বিদ্যমান অনেক অন্যায় দিনে দিনে দূরীভূত হচ্ছে। সৃজনশীলতার সাথে যৌতুক ও বাল্যবিবাহের মত সামাজিক ব্যাধিকে নেত্রীরা মেকাবেলা করছেন। যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করছেন ও বাল্যবিবাহকে ‘না’ বলুন এই প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এমডিজি লক্ষ্য-৪: শিশু মৃত্যু হ্রাস:
শিশু মৃত্যূ ছিল বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রধান সমস্যা। পোলিও, ডিপথেরিয়া, হাম, হুপিংকাশির মত ঘাতক ব্যাধি এখন আর সম্ভাবনাময় কোন জীবন অকালে থামিয়ে দিতে পারে না। সরকারের পাশাপাশি নারীনেত্রীরা তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারাভিন পরিচালনা করেছেন। জন্মনিবন্ধন ‌এবং মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করার কাজটিও তারা নিরন্তর করে চলেছেন।

এমডিজি লক্ষ্য-৫: মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন:
আমাদের দেশে বিশেষত তৃণমূল পর্যায়ে গর্ভবতী মায়ের পরিচর্যা, নিরাপদ প্রসব, গর্ভবতী মায়ের টিকা ও পুষ্টি বিষয়ে সুব্যবস্থা না থাকায় প্রসূতি মায়ের স্বাস্থ্য বিপদজনক পর্যায়ে রয়েছে। নারীনেত্রীরা গর্ভবতী মায়ের পরিচর্যা ও নিরাপদ মাতৃত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা, প্রচারাভিযান চালিয়ে থাকেন এবং প্রসূতিকালীন সেবা দিয়ে থাকেন। গত দুই বছরে নারীনেত্রীরা ১৯০৫ জন মায়ের নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করেছেন

এমডিজি লক্ষ্য-৬: এইডস্‌সহ ঘাতক রোগ নির্মূল:
এইচআইভি এইডস্‌, ম্যালেরিয়া, যক্ষার মত ঘাতক রোগব্যাধি নির্মূলের জন্য নারীনেত্রীগণ র‌্যালি, আলোচনা সভা, উঠান বৈঠক এর মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালান।

এমডিজি লক্ষ্য-৭: টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণ:
জলবায়ূ পরিবর্তন বা পরিবেশের উপর যে কোন ধরণের নেতিবাচক প্রভাবের প্রথম শিকার নারীরা। পরিবারে ও সমাজে নারীনেত্রীরা তাই পরিবেশের স্থায়িত্বশীলতা রক্ষায় সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন। গত দুই বছরে পরিবেশ রক্ষায় নারীনেত্রীদের বিভিন্ন রকম কার্যক্রমের সফলতা অনেক।
–    তৃণমূল পর্যায়ে নিরাপদ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করেছেন ৬০৭৫টি পরিবার;
–    স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা স্থাপন করেছেন ১৭,৪০৮টি যার মাধ্যমে উপকার ভোগ করছেন ২৯,৪৫৭টি পরিবার;
–    ১৬,১৫৫টি নলকূপের আর্সেনিক পরীক্ষা করেছেন;
–    নলকূপ স্থাপন করেছেন ২২৫৬টি, যার উপকার ভোগ করছেন ১২,৩০১টি পরিবার;
–    প্রকৃতির সবুজায়ন ও পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন রকম ফলজ, বনজ ও ঔষধী বৃক্ষরোপন করেছেন ৩৬,৭৮২টি।