বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ (ক) অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র পরিকল্পনার প্রাথমিক নীতি হিসেবে একটি অভিন্ন গণমুখী এবং সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষালাভের অধিকারকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে; অথচ বাংলাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় মেয়েদের ভর্তির হার বাড়লেও মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষার পথ পাড়ি দেয়ার আগেই ঝরে পড়ছে অনেক মেয়ে এবং উচ্চশিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহনের হার খুবই কম। পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় পরিবারে ও সমাজে মেয়েশিশুর প্রতি বৈষম্য, নির্যাতন ও বাল্যবিয়েপ্রথার কারণে এ দেশের নারীরা তাদের শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করতে পারেনা। ফলে তারা অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে যথাযথভাবে অংশগ্রহণ করতে পারছে না।
নিচে শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীদের বর্তমান অবস্থানের একটি পরিসংখ্যান দেয়া হলো:
শিক্ষা-
– নিরক্ষরতা (বছর ১৫+ ) নারী : ৪৯% এবং পুরুষ ৩৯% World Data Bank-2009
– শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাথমিক স্তরে ৫০.১৩ শতাংশ ছাত্রী,
– মাধ্যমিক স্তরে ৫২.২ শতাংশ ছাত্রী,
– উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৪১.৬৪ শতাংশ ছাত্রী এবং
– বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে ২৪.০২ শতাংশ ছাত্রী রয়েছে। ইউনিসেফ প্রতিবেদন ২০১২
– বাল্য বিবাহের কারণে ৪১% কিশোরী স্কুল ত্যাগ করতে হয় World Data Bank-2009