সারা দেশ যখন করোনাভাইরাসের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্থ, মানুষ যেখানে ঘরের বাহির হতে ভয় পায়, সেখানে একজন নারী হয়েও এ ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের শুরু থেকেই এর বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন।
রংপুর জেলা গংগাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের ডিঙ্গাপাড়া গ্রামে বসবাস করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের নারী নেত্রী আনজুমানারা মিনি। তিনি বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের কোলকোন্দ ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও ডিঙ্গাপাড়া গ্রাম উন্নয়ন দলের সদস্য।
তিনি সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছেন, নিজেদের ডিঙ্গাপাড়া গ্রামে বার বার হাত ধোয়ার কথা বলা , ১২টি গুরুত্বর্পূণ স্থানে প্রায় ১৪৫জন মানুষকে হাত ধোয়ার নিয়মাবলী অনুশীলন করানো, ৭০টি সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, মাস্ক ব্যবহার করা, ২৫টি মাস্ক বিতরণ করা, ডিঙ্গাপাড়া গ্রামে ২৫০টি বাড়ি ও বাড়ির আশেপাশে জীবানুনাশক স্প্রে করানো, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং, সামাজিক শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কাজের পাশাপাশি মিনি চিন্তা করেন করোনা ভাইরাস বিরুদ্ধে টিকে থাকতে হলে, খাদ্য ঘাটতি, প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরী। সেই তাগিদ থেকে নিজ উদ্যোগে ডিঙ্গাপাড়া গ্রামের নিজেদের এবং প্রতিবেশীদের বাড়ীর আঙ্গিনায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করার জন্য উৎসাহিত করেন। বসতভিটায় সবজি চাষ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
একইসাথে আনজুমানারা মিনি গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের সাথে সমন্বয় করে মানবিক সহায়তার তহবিল থেকে সেবা পাওয়ার জন্য এলাকার অতি দরিদ্র ও অসহায় ২০৫টি পরিবারের তালিকা তৈরীতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও তিনি তার এলাকার অতি দরিদ্র অসহায় ২৫টি পরিবারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সাথে যোগাযোগ করে ১০কেজি করে চাল সহায়তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন।
মিনির বিশ্বাস তার এই সচেতনার মাধ্যমে এলাকার মানুষ এখনও করোনামুক্ত আছে।