নারীনেত্রী ফিরোজা বুলবুল কলি: স্বেচ্ছাব্রতই যার নেশা

যশোহরের মনিরামপুর ডিগ্রী কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করেন জনাব ফিরোজা বুলবুল কলি। তিনি দি হাঙ্গার প্রজেক্টের বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং যশোর জেলা কমিটির সভাপতি। শুধু শিক্ষকতা নয়, বরং একজন স্বেচ্ছাব্রতী মানুষ হিসেবে সমাজে কাজ করতে তিনি বেশি ভালবাসেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরু থেকেই তিনি নিজ শহরের বিভিন্ন পাড়ায় হাত ধোয়ার গুরুত্ব ও মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বিষষে জন-সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এই কর্মসূচিতে তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

Read more

অসহায়দের পাশে মর্জিনা বেগম

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মর্জিনা বেগম। তিনি দি হাঙ্গার প্রজেক্টের বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের মুন্সিগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সেই শুরু থেকেই স্থানীয় সরকারের সদস্য হিসেবে তিনি নিষ্ঠার সাথে নিজ ইউনিয়নের জনগণের সেবার দায়িত্ব পালন করছেন।

Read more

‘অসহায় মানুষের পাশে নারীনেত্রী নাজমা বেগম’

গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়রের মধ্য ধানগরা গ্রামে বসবাস করেন নারীনেত্রী নাজমা বেগম। তিনি দি হাঙ্গার প্রজেক্টের বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সম্মানিত সদস্য এবং “অবলম্বন” সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক।

নারীনেত্রী নাজমা বেগম ও অঞ্জলী রাণী বল্লমঝাড় ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জীবাণুনাশক ঔষধ ছিটানোসহ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করার কাজ করেছেন।

Read more

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে সীমান্তে করোনা রোধে সোচ্ছার নারী নেত্রী কুলসুমা ও কলিমা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি উপজেলাতে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত নাফ নদীর তীরবর্তী টেকনাফ উপজেলার ঝুঁকি অত্যধিক। টেকনাফ উপজেলা বর্তমানে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী মিলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়েছে। এ উপজেলার মানুষকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় সচেতন স্বেচ্ছাব্রতী মানুষের বিভিন্ন উদ্যোগ এলাকার মানুষের মাঝে সাড়া ফেলেছে। তেমনই একজন স্বেচ্ছাব্রতী কুলসুমা বেগম।

Read more

নেতৃত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আনোয়ারা

‘বান্দরবন জেলা লামা উপজেলা পৌরসভা সদরে বসবাস করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের বিকশিত নারী নেটওর্য়াকের চট্রগ্রাম অঞ্চলের নারীনেত্রী ও বিকশিত নারী নেটওর্য়াকের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং এনজেট একতা মহিলা সমিতি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক জনাব আনোয়ারা বেগম।

কোভিড-১৯’ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম করেছেন, মাইকিং করা, দেয়াল লিখন, পোস্টারিং, বার বার হাত ধোয়ার কথা বলা, মাস্ক পড়া, মাস্ক বিতরণ করা, সামাজিক শারিরীক দূরত্ব মেনে চলা অব্যহত।

Read more

‘প্রত্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে এগিয়ে আসছেন নারীনেত্রী রোজিখান’

কক্সবাজার জেলা মহেশখালী উপজেলা মাতারবাড়ী ইউনিয়নের নিয়াজির পাড়া গ্রামে বসবাস করেন নারীনেত্রী জনাব রোজি খান। তিনি মাতারবাড়ি বেগম রোকেয়া নারী জাগরন সমিতির সভাপতি এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর বিকশিত নারী নেটওর্য়াকের চকরিয়া উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি।

‘কোভিড-১৯ মহামারী প্রাদ্যুভাবে নিজ উদ্যোগে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন, নিজগ্রামে প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম  পরিচালনা করার জন্য মাতারবাড়ী ইউনিয়নের অন্যান্য নারীনেত্রী, মাতারবাড়ি বেগম রোকেয়া নারী জাগরন সমিতির সদস্যদের এবং ইউনিয়নের যুবকদের নিয়ে জরুরী সভা করেন। সভার সিদ্ধান্তক্রমে প্রত্যেকে নিজনিজ ওয়ার্ডে সচেতনমূলক ক্যাম্পেইন কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন। মাতারবাড়ী ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ডে কমিউনিটির যুবকদের দিয়ে মাইকিং করেছেন। প্রতি ওয়ার্ডের গ্রামে, পাড়ায় , বিভিন্ন বাড়ীর আশ-পাশে জীবানুনাশক স্প্রে করেন, সাবান দিয়ে বার বার হাতধোয়ার কথা, হাতধোয়ার পদ্ধতি অনুশীলন করা, মাস্ক ব্যবহার করা, ২০টি মাস্ক বিতরণ করাসহ সামাজিক শারিরীক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ প্রদান করেছেন। সকলের উদ্দেশ্য আহ্বান জানান, আতন্ক নয় সচেতনতাই প্রতিরোধ।

‘গ্রামবাসীকে স্বাস্থ্য বিধির কথা বলছেন নারী নেত্রী মিতা রানী পাল’

কুমিল্লা জেলা লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের কালিয়া চৌ গ্রামে বসবাস করেন জনাব মিতা রানী পাল। তিনি পেশায় একজন স্বাস্থ্যকর্মী (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্টের বিকশিত নারী নেটওয়ার্কে নারী নেত্রী । কালিয়া চৌ গ্রামে স্বাস্থ্য আপা হিসাবে পরিচিত।

করোনাভাইরাসের মহামারীতে যখন গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত তখন বাংলাদেশেও এর বিস্তার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রাথমিকভাবে , মৌলিক স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুবই কার্যকর একটি উপায় হিসাবে বিশেষজ্ঞ মহল কর্তৃক স্বীকৃত হয়েছে।  আর এ বিষয়ে উৎসাহিত হয়ে  নিজের গ্রামের মানূষকে করোনাভাইরাসের কবল থেকে নিরাপদ রাখতে মৌলিক স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করছেন নারী নেত্রী মিতারানী পাল। মিতা রানী তার গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া, খোলা জায়গায় থু থু না ফেলা, বিশেষ প্রয়োজন ব্যাতিত বাইরে না যাওয়া, বাইরে গেলে মুখে মাস্ক বা নেকাব ব্যবহার করা, অন্য মানুষের সাথে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা প্রভৃতি বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করে আসছেন।

কোভিড’১৯ প্রতিরোধে সংরক্ষিত আসনের সদস্য হিসেবে এলাকায় গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখছেন চরমহল্লা ইউনিয়নে নারীনেত্রী জনাব হাফসা বেগম।

সুনামগঞ্জ জেলা ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নে ছোট চরগোবিন্দ গ্রামের দি হাঙ্গার প্রজেক্ট -বাংলাদেশ এর বিকশিত নারীনেটওর্য়াকের নারী নেত্রী, চরমহল্লা ইউনিয়নের ৭,৮,৯ সংরক্ষিত আসনের সদস্য জনাব হাফসা বেগম।

তিনি স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে চরমহল্লা ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ডের যে সকল গ্রাম আছে, সকল গ্রামে কোভিড’১৯ এর বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে নিজ গ্রামে তারঁ নেতৃত্বে উজ্জীবক, নারীনেত্রী, গ্রাম উন্নয়ন দলের সাথে যৌথভাবে সমন্বয় করে লিফলেট বিতরণ, এলাকায় মাইকিং করা, বার বার হাতধোয়ার পদ্ধতি অনুশীলন, মাস্ক ব্যবহার করা, বাড়ীর আশে-পাশে পরিস্কার রাখা, যেথানে-সেখানে হাচিঁ-কাশি,থুথু না ফেলা সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ঘরে অবস্থান করতে বলেন। তাছাড়া ২টি পরিবারকে হোমকোয়ারেন্টেনে রেখে নিয়মিত ফলোআপ করেছেন। চরমহল্লা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন গুরুত্বর্পূণ স্থানে ২০০টি মাস্ক এবং ২০০টি হাতধোয়ার সাবান বিতরণ করেন।

Read more

‘অনন্য ভূমিকায় নারীনেত্রী হাসমিনা লুনা’

কোভিড’১৯ প্রতিরোধে নিজ উদ্যোগে করোনাভাইরাস মুক্ত বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করেছেন, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। বিকশিত নারীর নেটওর্য়াকের দিনাজপুর জেলা কমিটির সভাপতি নারীনেত্রী জনাব হাসমিন লুনা।

তিনি বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমনের শুরুতেই নিজ উদ্যোগে সচেতনমূলক কর্মসূচি লিফলেট বিতরণ, সঠিক নিয়মে হাতধোয়া অনুশীলন করানো, মাস্ক ব্যবহারের জন্য ২০০টি মাস্ক বিতরণ, ২০০টি সাবান বিতরণ করেন, সামাজিক দুরত্ব মেনে চলা বিষয়ে সচেতন করেন। তিনি গর্ভবতী মায়েদের জন্য ঘরে থাকা, বার বার হাত ধোয়ার কথা , সামাজিক দুরত্ব মেনে চলা, মায়েদের খাদ্যঅভ্যাস সঠিক নিয়মে, আয়রন-ক্যালসিয়াম ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা, ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগের মোবাইল নম্বর, এম্বুলেন্সের সাথে যোগাযোগের মোবাইল নম্বর, এমনকি প্রয়োজনে তাঁর নিজের মোবাইল নম্বর গর্ভবতী মায়েদের পরিবারের কাছে দিয়ে আসেন। ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে ও পরামর্শ দেন।

Read more

নারীনেত্রী রাহিমা আক্তার লাকীর করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম

চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের মোদারপুর গ্রামের নারীনেত্রী রাহিমা আক্তার লাকীর করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম

সারা বিশ্ব যখন আতঙ্কিত ঠিক তখনই করোনা ভাইরাস কে প্রতিরোধ করতে মাঠে কাজ করছে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর একদল সেচ্ছাব্রতী । ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মোদারপুর গ্রামে, মোদারপুর গ্রাম উন্নয়ন দলের সাধারন সম্পাদক রাহিমা আক্তার লাকি এবং ইয়ূথ লিডার জিকুসহ অনেকেই । রাহিমা আক্তার লাকি দি হাঙ্গার প্রজেক্ট হতে ২০১৩সালে বিকশিত নারী নেটওয়াক এর আয়োজনে নারীনেতৃত্ব বিকাশ শীর্ষক ফাইন্ডেশন কোর্স  প্রশিক্ষন নিয়ে গ্রামে বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক কাজ করে আসছেন,তারই ধারাবাহিকতায় দেশের যখন এই মহামারীর সময়ে তার নিজের গ্রাম মোদারপুর কে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত করতে হাতে নিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ। Read more