চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের মোদারপুর গ্রামের নারীনেত্রী রাহিমা আক্তার লাকীর করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম
সারা বিশ্ব যখন আতঙ্কিত ঠিক তখনই করোনা ভাইরাস কে প্রতিরোধ করতে মাঠে কাজ করছে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর একদল সেচ্ছাব্রতী । ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মোদারপুর গ্রামে, মোদারপুর গ্রাম উন্নয়ন দলের সাধারন সম্পাদক রাহিমা আক্তার লাকি এবং ইয়ূথ লিডার জিকুসহ অনেকেই । রাহিমা আক্তার লাকি দি হাঙ্গার প্রজেক্ট হতে ২০১৩সালে বিকশিত নারী নেটওয়াক এর আয়োজনে নারীনেতৃত্ব বিকাশ শীর্ষক ফাইন্ডেশন কোর্স প্রশিক্ষন নিয়ে গ্রামে বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক কাজ করে আসছেন,তারই ধারাবাহিকতায় দেশের যখন এই মহামারীর সময়ে তার নিজের গ্রাম মোদারপুর কে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত করতে হাতে নিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ। তার মধ্যে রয়েছে জীবাণু নাশক, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার নিয়ম কানুন সম্পর্কে গ্রামের মানুষ কে সচেতনতামূলক পরামর্শ,তাছাড়া তার এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যর সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সব ধরনের ত্রান কার্যক্রমের তালিকাকরন সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে যাচ্ছেন। সামাজিক
দায়িত্ববোধ ও সমাজের অসহায় দুস্থ মানুষের সেবায় এগিয়ে আসার জন্য রাহিমা আক্তার লাকি সমাজের বিত্তবানদের ও সম্পদশালীদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানান। করোনা ভাইরাসে বিশ্ব যখন স্থবির, মানুষ যখন আতঙ্কিত তখন এই প্রতিকুল অবস্থার মোকাবেলা করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে, থাকতে হবে প্রত্যেককে নিরাপদ দূরত্বে।
মানুষ কে সহযোগিতা করতে হবে। এই চিন্তা থেকে সে গত ০২/০৪/২০২০ইং তারিখ হতে ধারাবাহিক ভাবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। নিজেকে, পরিবারকে তথা দেশের মানুষকে সুস্থ্য রাখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং বাড়িতে থাকার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। তিনি বলেন প্রত্যেকে যদি ঘরে থাকে , সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে, বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বার বার হাত ধোয়া, প্রয়োজনে মাস্ক
ব্যবহার করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে সচেতন থাকেন, তবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা সহজ হবে। সবাইকে এই ভাইরাস প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। কাজেই “সবাই মিলে শপথ করি , করোনা ভাইরাস মুক্ত গ্রাম গড়ি এই প্রত্যাশায় রাহিমা আক্তার চালিয়ে যাচ্ছেন অজ্ঞাত শত্রু করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের অভিযান, সমাজের অসচেতন মানুষকে সচেতন করায় রাহিমা আক্তার লাকি, তার ভাই ইয়ুথ লীডার জিকুসহ অনেকেই গ্রামে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। রাহিমা আক্তার লাকি ও জিকুদের এ কাজ করার মাধ্যমে আরও অনেক ইয়ূথরাও এগিয়ে এসেছে।
প্রতিবেদক: এ. এন. এম. নাজমুল হোসাইন, এলাকা সমন্বয়কারী, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা