গত ৫ ডিসেম্বর ২০২০ ‘আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাব্রতী দিবস’ উপলক্ষ্যে ‘আইভিডি বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ পুরস্কারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ‘ভলান্টিয়ার ফর কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি’। চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সারাদেশে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে ১৫ জনকে পুরস্কৃত করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচি-ইউএনভি বাংলাদেশ এবং ওয়াটারএইড এর সহযোগিতায় প্রদান করা হয় ‘আইভিডি বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট- বাংলাদেশ এর বিকশিত নারী নেটওয়ার্কে’র নারীনেত্রী ও টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সভানেত্রী জনাব আনজু আনোয়ারা পারভীন এই সম্মানজনক পুরস্কার গ্রহণ করেন।
করোনা কার্যক্রম
তৌফিকা বানুর অদম প্রচেষ্টা
সারাবিশ্ব কাঁপছে এখন করোনার ভয়ে। বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম নয়। ০৮ মার্চ ২০২০ প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়। তারপর থেকে ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে এই সংখ্যা। করোনাকে জয় করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং গ্রামীণ জনপদের মানুষও এগিয়ে এসেছে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য। যারা নিবেদিতভাবে সমাজে মানুষের মর্যাদা, নিরাপত্তা এবং সমাজে মানুষের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখছেন তাদেরই একজন তৌফিকা বানু।
আত্মপ্রত্যয়ী সন্ধ্যা রাণীর উদ্যোগে আলোকিত হয়েছে মানবতার পথ
করোনাভাইরাস – সারা বিশ্বে বর্তমানে সর্বাধিক উচ্চারিত একটি শব্দগুচ্ছ। শহর বা গ্রাম সর্বত্রই আলোচনার বিষয় এই করোনাভাইরাস। মার্চ মাসে বাংলাদেশে এই ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী সনাক্ত হওয়া ও আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর পর সারা দেশের মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। প্রতিদিনই বাড়তে থাকে সংক্রমণের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ে মানুষের আতঙ্ক।
এমনই আতঙ্কময় পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এবং আতঙ্কিত মানুষের মাঝে সাহস সঞ্চারে এগিয়ে আসেন আমাদের সমাজেরই একদল স্বেচ্ছাব্রতী মানুষ। কোনো প্রশংসা প্রাপ্তির আশায় নয়, বরং মানবসেবার নেশায় এই স্বেচ্ছাব্রতী মানুষেরা আত্ম-উপলব্ধি ও আত্ম-প্রত্যয়ের সাথে সকল প্রতিকূলতাকে চ্যালেঞ্জ করেন।
করোনামুক্ত রসকানাই- নেপথ্যে মুসলিমা
”আসুন, সবাই মিলে শপথ করি, স্থানীয়ভাবে করোনা সহনশীল গ্রাম গড়ে তুলি” সারাবিশ্ব কাঁপছে এখন করোনার ভয়ে। বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম নয়। ০৮ মার্চ ২০২০ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে এই সংখ্যা। করোনাকে জয় করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং গ্রামীণ জনপদের মানুষও এগিয়ে এসেছে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য। যারা নিবেদিতভাবে সমাজে মানুষের মর্যাদা, নিরাপত্তা এবং সমাজে মানুষের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখছেন, তারা প্রতি নিয়ত ছুটে চলেছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। মুরশিদাৎ খ্যাত এই ত্রাতাদের পদচারণায় করোনা ভীতি থেকে ক্রমাগত উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে জনগোষ্ঠির পিছিয়ে পড়া মানুষটিও। যারা এগিয়ে এসেছেন তাদেরই এজন মুসলিমা বেগম।
করোনা মোকাবেলায় আত্মপ্রত্যয়ী সৈয়দপুরের সৈয়দা রুখসানা জামান শানু
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সারা বিশ্বকে আজ এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিটি দেশ নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে অপ্রতুল সম্পদ সত্ত্বেও এই দেশের মানুষ করোনাভাইরাস মোকাবেলার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। এই দেশের উত্তর জনপদের এমনই একজন চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারী মানুষ সৈয়দা রুখসানা জামান শানু।
সৌহার্দ্য আর মানবতার প্রতীক: আত্মপ্রত্যয়ী ফাতেমা বেগম
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী এক নতুন বাস্তবতা সৃষ্টি করেছে। প্রতিটি দেশ এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং নিজেদের দেশবাসীকে রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মার্চ মাসে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম সনাক্ত হয়। প্রতিষেধক বিহীন এই ভাইরাসের লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায় বিষয়ে শহর, গ্রাম সর্বত্রই আলোচনা হতে থাকে। এই আলোচনার সাথে গুজব ও ভুল তথ্যও ছড়িয়ে পড়ে। ফলে, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মানুষ বিভ্রান্তি আর আতঙ্কে আক্রান্ত হয় বেশি। কাজেই, সর্বত্রই মানুষকে সচেতন হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
করোনাসহিষ্ণু গ্রাম গঠনে রুমেনা আক্তার ঝুনুর আত্ম-প্রত্যয়ী উদ্যোগ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্ববাসীর সামনে আজ এক নতুন বাস্তবতা। এই বাস্তবতা শুধু নতুন নয়, বরং ভয়াবহও বটে। আজ পরিবর্তিত বাস্তবতায়, আমাদের নতুনভাবে মানবিক হওয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
মার্চ মাসে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সনাক্তের পরে, দ্রুতগতিতে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া গুজব ও ভুল তথ্য মানুষকে দিশেহারা করে। প্রস্তুতিহীন এদেশের মানুষ আতঙ্কিত হয় আরো বেশি।
করোনা সহিষ্ণু গ্রামের আত্ম-প্রত্যয়ী নারীনেত্রী ঝর্ণা বেগম
করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বব্যাপী মানুষ যেমন আতঙ্কিত ও দিশাহারা হয়েছে, তেমনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এই ভাইরাস সংক্রমণে প্রতিরোধও গড়ে তুলেছে। মানুষের একক, দলবদ্ধ ও সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠছে।
মার্চ মাসে বাংলাদেশে এই ভাইরাস সনাক্তের পরে সর্বত্রই অস্থিরতা বিরাজ করতে থাকে। গুজব আর ভুল তথ্য মানুষের মাঝের উৎকণ্ঠাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। করোনাভাইরাসের চেয়ে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ’কমিটমেন্ট’ পূরণ করছেন নারীনেত্রী শারাবান তাহুরা
বান্দরবন জেলা লামা উপজেলা রুপসীপাড়া গ্রামের নারীনেত্রী শারাবান তাহুরা| তিনি দি হাঙ্গার প্রজেক্টে বাংলাদেশের বিকশিত নারী নেটওর্য়াকের লামা উপজেলা কমিটির সভাপতি এবং লামা উপজেলার সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।
মার্চ মাসে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্তের পর দ্রুত গতিতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মানুষ হয়ে যায় দিশেহারা। আতঙ্ক প্রতিরোধে এবং মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম- বার বার হাত ধোয়া ,মাস্ক পড়া, মাস্ক বিতরণ করা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক শারিরীক দূরত্ব বজায় চলা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ’কমিটমেন্ট’ পূরণ করছেন রাশিদা আক্তার শেলি
কোভিড-১৯ মহামারিতে প্রায় প্রতিটি দেশ আজ বিপর্যস্ত। বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, গবেষক করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কারে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। উন্নত বা অনুন্নত – সব দেশেই সকলস্তরের মানুষ আজ লড়াই করছেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। বিশ্ব জুড়ে অসহায় মানুষের প্রতি মানবিক সহায়তার আবেদনে হাত বাড়িয়েছেন অযুত মানুষ।