‘নারীর ক্ষমতায়ন -মানবতার উন্নয়ন’ – এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম-এর উদ্যোগে উদ্যাপিত হলো আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৫। এ উপলক্ষে আজ ০৭ মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮.৪৫টায় জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিতে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, ফোরাম-এর সদস্য, শিক্ষক, অভিভাবক এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৪৫০ জন স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বেলুন উড়িয়ে র্যালির উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব মেহের আফরোজ চুমকি এমপি। র্যালিটি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, (রমনা, ঢাকা) পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। র্যালি শেষে সকাল ১০.০০টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট-এর সেমিনার রুমে আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান, ‘নারীর কথা-১০’ নামক জার্নাল এর মোড়ক উম্মোচন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। Read more
Author: The Hunger Project
বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক-এর পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন-২০১৪ অনুষ্ঠিত
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেছেন, ‘উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীদের এগিয়ে আসা প্রমাণ করে বাংলাদেশ আর পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপি ছয় শতাংশের ওপরে, আজকে উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা নেই, খাদ্যে স্বয়ংস্বপূর্ণতা অর্জন করেছে। সর্বোপরি মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হ্রাসসহ এমডিজি অর্জনে আমাদের সাফল্য ইর্ষণীয়। আর এসব ক্ষেত্রে নারীদের রয়েছে একটি বড় অবদান। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনও বাংলাদেশের সাফল্যের পেছনে নারীদের উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকে উল্লেখ করেছেন।’ তিনি আজ সকাল ১৩ নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০.০০টায় ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত ইন্সিটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ-এর নারী নেতৃত্ব বিকাশ কর্মসূচির আওতাধীন বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক-এর পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন-২০১৪-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। Read more
অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক-এর পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন ২০১৪
“নারীরাই ক্ষুধামুক্তির মূল চাবিকাঠি”এই শ্লোগানকে ধারণ করে আগামী ১৩ নভেম্বর ২০১৪, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের নারী নেতৃত্ব বিকাশ কর্মসূচির আওতাধীন বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক-এর পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকাল ৯.০০ টা থেকে দিনব্যাপী সম্মেলনটি ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সারা দেশের প্রায় এক হাজার বলিষ্ঠ নারীনেত্রী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি. অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন ২০১৩:
র্যালি, আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরামের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত
‘এই হোক অঙ্গীকার, নারী নির্যাতন নয় আর’ – এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো আন্তর্জাতিক নারী দিবস। জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরামের উদ্যোগে সকাল ৯.৩০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধি, জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরামের সদস্য, বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক-এর সদস্য, শিক্ষক, অভিভাবক এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৪৫০ জন স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বেলুন উড়িয়ে র্যালির উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব মেহের আফরোজ চুমকী এমপি। র্যালিটি বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। Read more
ধর্ষণকারীদের এবং মদদদাতা / সহায়তাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
গত ৩ জারুয়ারী ২০১৩ তারিখে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট, বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক এবং কন্যাশিশু এ্যাডভোকেসি ফোরাম সম্মিলিতভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করে। নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং একজন কন্যাশিশুর ধর্ষকদের যথাযথ বিচারের দাবীতে ৪০ টিরও বেশী সংগঠনের প্রায় ৪০০ প্রতিনিধি এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
গত ৬ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে টাঙ্গাইলের মধুপুরবাসী নবম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আক্তার ময়নাকে স্থানীয় একজন নারী একদল ধর্ষকের হাতে তুলে দেয়। এই ধর্ষকরা সাথীকে ৪ দিন আটকে রেখে ক্রমাগত ধর্ষণ করে এবং এই ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে।
৪ দিন পর এলাকাবাসী সাথীকে রেললাইনের ওপর অচেতন অবস্থায় আবিষ্কার করে । পরবর্তীতে সাথীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সে এখন সেখানে নিবিড় ত্তাবধানে রয়েছে এবং শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি তাকে মনোচিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে।
এই ঘটনার ৭ দিন পরে স্থানীয় শালিসের মাধ্যমে সাথীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছু টাকা প্রদানের প্রস্তাব দেয়া হয়। তার পরিবার এই ক্ষতিপূরণ নিতে অস্বীকার করে এবং স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ধর্ষকরা উপযুক্ত প্রমানাদি সত্বেও আদালত থেকে জামিন পায়। ফলে দি হাঙ্গার প্রজেক্টসহ অন্যান্য প্রতিষ্টানসমূহ এই ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে। তারা এই মানববন্ধনের মাধ্যমে সারাদেশের ধর্ষণকারী, ধর্ষণের সাথে জড়িত এবং সহায়তাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে এবং একইসাথে এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের জোরালো ভূমিকা অব্যাহত রাখার জন্যও উদাত্ত আহ্বান জানায়।